
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার ৫ মার্চ ২০২৫ তারিখের প্রজ্ঞাপন নেং ৪৫.০০.০০০০.১৬২.৯৯.০২৯.২০১৮-৯২) অনুযায়ী ছয় মাসের জন্য বিআরসিএস-এর ম্যানেজিং বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি সংস্থার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের দিকে গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে (বি ডিআরসিএস) প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বচ্ছতার অভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গভীর অভিযোগ উঠেছে।সুত্র জানায়, সংস্থাটির উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সোহাগ মিয়া সংস্থার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে ও আর্থিক কেলেঙ্কারির মদদদাতা হিসেবে ইতোমধ্যেই পরিচিতি লাভ করেছেন।ওদিকে আওয়ামীলীগ আমলে রাজনৈতিক কারনে চাকুরিচ্যুতদের পুর্নবহালের সিদ্ধান্ত থাকলেও এখনও পর্যন্ত ফ্যাসিষ্টদের অদৃশ্য শক্তির হস্তক্ষেপে তা বাস্তবায়িত হয়নি। অন্যদিকে উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী সোহাগ মিয়া সংস্থার প্রশাসনিক ক্ষমতা পুরোপুরি নিজেদের কব্জায় নিয়ে নিয়েছেন এমন অভিযোগ রেডক্রিসেন্ডের রুমে রুমে। । নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির মতো সংবেদনশীল বিষয়ে গভর্নিং বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এতে সংস্থার প্রশাসনিক কাঠামোতে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে।
উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ: দুর্নীতির মূল হোতা।
সুলতানের নিয়োগ ছিল আওয়ামী বিবেচনায় যার, অবৈধ নিয়োগ অনিয়ম দুনীতি সক্রান্ত তথ্য তদন্ত করলে পাওয়া যাবে।
ব্রিগেডিয়ার হুমাউন এবং সুলতান মিয়ে প্রায় ১০০ আওয়ামী ক্যাডার কে হলি ফ্যমিলি হাসপাতাল ও রেড ক্রিসেন্টএ চাকরি দিয়েছে, যারা এখন মিলে মিশে আওয়ামীলীগকে পূনগঠন করার কাজ করছে।
৫ ই আগস্টের আগে এবং পরে প্রায় ৫০ সৈরাচারের দোসর দের পদোন্নতি প্রদান করেন সুলতান গং।
দুর্নীতিবাজ সুলতান টেন্ডার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে সৈরাচারের দোসরদের সাথে মিলে যৌথ ভাবে বানিজ্য করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন । সকল আওয়ামী দের পুনবহাল করা এবং বিরোধী দের ধংশ করার গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে সুলতান এসিএস সোহাগ সিন্ডিকেট।
অবৈধ টাকায় সুলতান বারিধারায় কিনেছেন শতকোটি টাকার ২ টি বাড়ি ,৩ টি বিলাস বহুল গাড়ি আছে কানাডায় বাড়ি এবং গাড়ি।এসকল অবকর্ম বাস্তবায়নে চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে তার হাতের পুতুল বানিয়ে রেখেছেন সুলতান।
উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো, সংস্থায় আওয়ামী লিগের অনুগতদের পুনর্বাসন এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁর অনিয়মের খবর প্রকাশিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং, চেয়ারম্যানের কার্যালয় এখন তাঁরই নির্দেশে চলছে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গঠিত হয়েছে, যা সংস্থাটিকে 'আওয়ামী লিগের পুনর্বাসন কেন্দ্র' ও 'দুর্নীতির হাট'-এ পরিণত করেছে। অভ্যন্তরীণ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই সিন্ডিকেট ইতিমধ্যে কোটি কোটি টাকার বদলি, নিয়োগ ও চুক্তি বাণিজ্যে জড়িত, যার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন সুলতান আহমেদ।
২০২২ সালের ৩ নভেম্বর উপ-মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে পরিচিত সুলতান আহমেদ রেড ক্রিসেন্টে তার ক্ষমতার জাল বিস্তার করতে শুরু করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. রোকেয়া সুলতানার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। উল্লেখ্য, ডা. রোকেয়া মেয়াদের জন্য রেড ক্রিসেন্টের ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য ছিলেন, যা সুলতান আহমেদের দুর্নীতির পথকে আরও মসৃণ করেছে। ৩ সুলতান আহমেদের কোটি টাকার সম্পদ, উৎস অজানা
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে সুলতান আহমেদ ঢাকার অভিজাত এলাকা বারিধারা ডিওএইচএস একাধিক বিলাসবাল ফ্ল্যাটের মালিক, যার কোনো বৈধ আয়ের উৎস তিনি দেখাতে পারেননি।
অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তাদের মতে, এসব সম্পদের মূল উৎস হলো রেড ক্রিসেন্টে ঘুষ ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত কালো টাকা। নিয়োগপত্র অনুমোদন, বদলি নযি স্থগিত, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ইত্যাদির নামে প্রতিনিয়ত আর্থিক লেনদেনের যে চক্র তিনি গড়ে তুলেছেন, তা পুরো সংস্থার আর্থিক স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সুলতান আহমেদের অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএস এলাকায় একাধিক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ও বাড়ি এবং একাধিক বিলাসবচুল গাড়ি যার কোনোটিরই বৈধ অর্থের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
দুর্নীতির নেপথ্যে কারা?
সুলতান আহমেদ অর পূর্বতন সহযোগী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) হুমায়ুন কবিরের সহায়তায় একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। এই জুটির মাধ্যমে সুলতান আহমেদ একটি শক্তিশালী দুর্নীতিকজ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন যেটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পদ শোষণ করে ব্যক্তিগত সম্পদ গড়া। এই সিন্ডিকেটের প্রধান চার সদস্য হলেন।
সোহাগ মিয়া (পিএস-১): চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী, যিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষ ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, অভিযোগ আছে এর মাধ্যমে চেয়ারম্যান পরোক্ষভাবে জড়িত।
ডা. শেখ আবু জাফর সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য, আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে যিনি সিন্ডিকেটের যাবতীয় বেআইনি সিদ্ধান্তকে বৈধতা দিয়ে আসছেন।
দুর্নীতির পাহাড়: ডা. শাহানা জাফরের কালো অধ্যায়
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তহবিল সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক ডা. শাহানা জাফরের। বিরুদ্ধে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ জমা হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি জমি গোপনে বিক্রি, হাসপাতাল এলাকায় অর্থের বিনিময়ে কোরবানির পশুর হাট বসানোসহ নানা কর্মকাণ্ডে তিনি সম্পৃক্ত-যার একাধিকবার তদন্ত হলেও আজ পর্যন্ত কার্যকর। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হলো, ২০১১ সালে বরখাস্ত হওয়ার পর মাত্র। তিন মাসের ব্যবধানে তার পুনর্বহাল এবং পদোন্নতি, যা এই অভিযোগগুলোর পেছনে অদৃশ্য ক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়। ২০১৭-১৮ সালে তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগ ওঠে, কিন্তু তবুও তিনি বহাল তবিয়তে নিজের ক্ষমতার আসনে বসে থাকেন। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব স্বাক্ষরিত একটি বদলি আদেশ জারি হলেও, ডা. শাহানা জাফর সেটিকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে স্থগিত করে ঢাকাতেই থেকে যান।
ডা. শাহানা জাফর: বিতর্কিত পরিচালক, যিনি অনুদান, তহবিল সংগ্রহ ও প্রকল্প তহবিল ব্যবস্থাপনায় অনিয়মে জড়িত এবং নিজের অবস্থানকে অপব্যবহার করে সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিয়ে আসছেন। ডাঃ শাহানা দুর্নীতি-অনিয়ম সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য । সোসাইটির তহবিল বিভাগের পরিচালক- ডাঃ শাহানা জাফর। আওয়ামী শাসনামলে একাধিপত্য কায়েম করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিত্তের মালিক হয়েছেন তিনি।////রেড ক্রিসেন্টে চলছে আওয়ামী পুর্নবাসনের মহা উৎসব যার নেতৃত্বে চেয়ারম্যান'র পি এস সোহাগ ও সুলতান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার ৫ মার্চ ২০২৫ তারিখের প্রজ্ঞাপন নেং ৪৫.০০.০০০০.১৬২.৯৯.০২৯.২০১৮-৯২) অনুযায়ী, আজিজুল ইসলামকে ছয় মাসের জন্য বিআরসিএস-এর ম্যানেজিং বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি সংস্থার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসনকে পদদলিত করে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে (বি ডিআরসিএস) প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বচ্ছতার অভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গভীর অভিযোগ উঠেছে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মোঃ আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ ও ব্যক্তিগত সহকারী মো. সোহাগ মিয়ার মাধ্যমে সংস্থার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে ও আর্থিক কেলেঙ্কারির মদদদাতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
চেয়ারম্যানের সরাসরি নির্দেশে উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ ও ব্যক্তিগত সহকারী সোহাগ মিয়া সংস্থার প্রশাসনিক ক্ষমতা পুরোপুরি নিজেদের কব্জায় নিয়ে নিয়েছেন। নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির মতো সংবেদনশীল বিষয়ে গভর্নিং বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এতে সংস্থার প্রশাসনিক কাঠামোতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ: দুর্নীতির মূল হোতা। যতো অপকর্ম সুলতানের
সুলতানের নিয়োগ ছিল আওয়ামী বিবেচনায় যার, অবৈধ নিয়োগ অনিয়ম দুনীতি সক্রান্ত তথ্য তদন্ত করলে পাওয়া যাবে।
ব্রিগেডিয়ার হুমাউন এবং সুলতান মিয়ে প্রায় ১০০ আওয়ামী ক্যাডার কে হলি ফ্যমিলি হাসপাতাল ও রেড ক্রিসেন্টএ চাকরি দিয়েছে, যারা এখন মিলে মিশে আওয়ামীলীগকে পূনগঠন করার কাজ করছে।
৫ ই আগস্টের আগে এবং পরে প্রায় ৫০ সৈরাচারের দোসর দের পদোন্নতি প্রদান করেন সুলতান গং।
দুর্নীতিবাজ সুলতান টেন্ডার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে সৈরাচারের দোসরদের সাথে মিলে যৌথ ভাবে বানিজ্য করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন । সকল আওয়ামী দের পুনবহাল করা এবং বিরোধী দের ধংশ করার গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে সুলতান এসিএস সোহাগ সিন্ডিকেট।
অবৈধ টাকায় সুলতান বারিধারায় কিনেছেন শতকোটি টাকার ২ টি বাড়ি ,৩ টি বিলাস বহুল গাড়ি
আছে কানাডায় বাড়ি এবং গাড়ি।
এসকল অবকর্ম বাস্তবায়নে চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে তার হাতের পুতুল বানিয়ে রেখেছেন ধুরন্দার সুলতান।
উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো, সংস্থায় আওয়ামী লিগের অনুগতদের পুনর্বাসন এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁর অনিয়মের খবর প্রকাশিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং, চেয়ারম্যানের কার্যালয় এখন তাঁরই নির্দেশে চলছে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গঠিত হয়েছে, যা সংস্থাটিকে 'আওয়ামী লিগের পুনর্বাসন কেন্দ্র' ও 'দুর্নীতির হাট'-এ পরিণত করেছে। অভ্যন্তরীণ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই সিন্ডিকেট ইতিমধ্যে কোটি কোটি টাকার বদলি, নিয়োগ ও চুক্তি বাণিজ্যে জড়িত, যার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন সুলতান আহমেদ।
২০২২ সালের ৩ নভেম্বর উপ-মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে পরিচিত সুলতান আহমেদ রেড ক্রিসেন্টে তার ক্ষমতার জাল বিস্তার করতে শুরু করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. রোকেয়া সুলতানার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। উল্লেখ্য, ডা. রোকেয়া মেয়াদের জন্য রেড ক্রিসেন্টের ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য ছিলেন, যা সুলতান আহমেদের দুর্নীতির পথকে আরও মসৃণ করেছে। ৩ সুলতান আহমেদের কোটি টাকার সম্পদ, উৎস অজানা
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে সুলতান আহমেদ ঢাকার অভিজাত এলাকা বারিধারা ডিওএইচএস একাধিক বিলাসবাল ফ্ল্যাটের মালিক, যার কোনো বৈধ আয়ের উৎস তিনি দেখাতে পারেননি।
অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তাদের মতে, এসব সম্পদের মূল উৎস হলো রেড ক্রিসেন্টে ঘুষ ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত কালো টাকা। নিয়োগপত্র অনুমোদন, বদলি নযি স্থগিত, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ইত্যাদির নামে প্রতিনিয়ত আর্থিক লেনদেনের যে চক্র তিনি গড়ে তুলেছেন, তা পুরো সংস্থার আর্থিক স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সুলতান আহমেদের অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএস এলাকায় একাধিক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ও বাড়ি এবং একাধিক বিলাসবচুল গাড়ি যার কোনোটিরই বৈধ অর্থের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
দুর্নীতির নেপথ্যে কারা?
সুলতান আহমেদ অর পূর্বতন সহযোগী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) হুমায়ুন কবিরের সহায়তায় একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। এই জুটির মাধ্যমে সুলতান আহমেদ একটি শক্তিশালী দুর্নীতিকজ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন যেটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পদ শোষণ করে ব্যক্তিগত সম্পদ গড়া। এই সিন্ডিকেটের প্রধান চার সদস্য হলেন।
সোহাগ মিয়া (পিএস-১): চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী, যিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষ ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, অভিযোগ আছে এর মাধ্যমে চেয়ারম্যান পরোক্ষভাবে জড়িত।
ডা. শেখ আবু জাফর সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য, আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে যিনি সিন্ডিকেটের যাবতীয় বেআইনি সিদ্ধান্তকে বৈধতা দিয়ে আসছেন।
দুর্নীতির পাহাড়: ডা. শাহানা জাফরের কালো অধ্যায়
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তহবিল সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক ডা. শাহানা জাফরের। বিরুদ্ধে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ জমা হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি জমি গোপনে বিক্রি, হাসপাতাল এলাকায় অর্থের বিনিময়ে কোরবানির পশুর হাট বসানোসহ নানা কর্মকাণ্ডে তিনি সম্পৃক্ত-যার একাধিকবার তদন্ত হলেও আজ পর্যন্ত কার্যকর। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হলো, ২০১১ সালে বরখাস্ত হওয়ার পর মাত্র। তিন মাসের ব্যবধানে তার পুনর্বহাল এবং পদোন্নতি, যা এই অভিযোগগুলোর পেছনে অদৃশ্য ক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়। ২০১৭-১৮ সালে তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগ ওঠে, কিন্তু তবুও তিনি বহাল তবিয়তে নিজের ক্ষমতার আসনে বসে থাকেন। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব স্বাক্ষরিত একটি বদলি আদেশ জারি হলেও, ডা. শাহানা জাফর সেটিকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে স্থগিত করে ঢাকাতেই থেকে যান।
ডা. শাহানা জাফর: বিতর্কিত পরিচালক, যিনি অনুদান, তহবিল সংগ্রহ ও প্রকল্প তহবিল ব্যবস্থাপনায় অনিয়মে জড়িত এবং নিজের অবস্থানকে অপব্যবহার করে সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিয়ে আসছেন। ডাঃ শাহানা দুর্নীতি-অনিয়ম সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য । সোসাইটির তহবিল বিভাগের পরিচালক- ডাঃ শাহানা জাফর। আওয়ামী শাসনামলে একাধিপত্য কায়েম করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিত্তের মালিক হয়েছেন তিনি।
দুর্নীতির টাকায় সম্পতি ধানমন্ডিতে ৩০০০ স্কয়ার ফুটের একটি ফ্ল্যাট ক্রায় করেন যার বাজার মুল্য প্রায় ৫ কোটি টাকার উপরে।
আছে নিজের ২ দামি গাড়ি এছারাও মিরপুর উত্তারাতেও তার নামে ফ্ল্যাট রয়েছে।
তিনি চাকরি জীবনে ভিবিন্ন বিভাগে চাকুরী কালীন সময় মোটা অর্থের বিনিময়ে অন্তত ১০ জনকে চাকুরী প্রধান করেন। এসব তিনি করেন স্বাস্থ ,তহবিল সংগ্রহ, বাংলাবাজার হাসপাতালে দায়িত্ব থাকা কালিন সময়ে।
করোনা কালীন সময় কোন প্রকার নিয়ম নীতি অনুসরণ না করে কোটি টাকার মাস্ক পিপি ক্রয় ,কুমিল্লায় সোসাইটির সম্পতি জালিয়াতি করে ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই দুর্নীতিবাজ ডাঃ শাহানার বিরুদ্ধে। এছারাও নেত্রকোনায় স্বাস্থ কেন্দ্র নিমানে বোড মেম্বর টুকুর সহযোগীতায় ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।
এছারা তার বিরুদ্ধে ভিবিন্ন অনিয়মের ১২ টি বিভাগীয় তদন্তে তাকে দোসী সাব্যস্ত করা হলেও ভিবিন্ন সময় ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতা থাকার সুবাধে সকল অপরাধের শাস্তি যেন তাকে স্পর্শ ই করতে পারেনি ,তার সকল তদন্তের রিপোর্ট প্রশাসনিক দপ্তরে সংরক্ষিত আছে।
এই অবৈধ উপায়ে বিত্ত-বৈভব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চাকরি জীবনে এমন কোন হীনও কাজ নেই যা ডা. শাহানা জাফর করেননি। টাকার জন্য তিনি হাসপাতাল প্রাঙ্গনকে ‘গরুর হাটে’ পরিণতও করেছেন। গরুপ্রতি টাকা নিয়ে ভাড়া দিয়েছেন শহীদ ময়েজ উদ্দীন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল প্রাঙ্গণকেও। ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের অবসান হলেও প্রশাসনের সকল স্তরে ঘাপটি মেরে আছে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর। ডা. শাহানা জাফর একনিষ্ঠ আওয়ামীপ্রেমী ফ্যাসিস্টদের দোসর হলেও এখন তিনি আওয়ামী পরিচয় লুকিয়ে বৈষম্য বিরোধী ‘আলখেল্লা’র আড়ালে আওয়ামী আদর্শেই হাঁটছেন। ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর এক সম্মেলনে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ও আইএফআরসি’র গভর্নিং বোর্ডের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রেড ক্রিসেন্টের অনেকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যহার ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ডা: শাহানা জাফর এদের অন্যতম।
এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ড সদস্যরা অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন,অথচ এখনও আওয়ামী দোসর ডা. শাহানা জাফর বহাল তবিয়তে টিকে আছেন। তিনি গোপনে তাদের ও দলের মিশন পরিচালনা করছেন। এ বিষয়ে তার ভূমিকা বিতর্কিত প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। ডা. শাহানা জাফর অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে এখনও সকল ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন- এমন অভিযোগ করেন নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সোসাইটির প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন ইউনিটের একাধিক কর্মকর্তারা। তারা বলেন, ডা. শাহানার মতো কর্মকর্তার অপকর্মের ফলে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মতো বৃহৎ এই মানবিক প্রতিষ্ঠানের সুনাম আগেও ক্ষুন্ন হয়েছে, এখনও হচ্ছে। ডা. শাহানা জাফরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম, অনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ থাকার অভিযোগ উঠলেও তিনি বিশেষ কৌশলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে সবসময় রেহাই পেয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থাকার পরও কেন শাস্তি মুলক কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না- এমন প্রশ্ন করে বিস্ময় প্রকাশ করেন তারা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডা. শাহানা জাফর সোসাইটির সাবেক উপ-মহাসচিব জাকারিয়া খালেদের সাথে বিশেষ সম্পর্কে থাকার কারণেই বিগত সময়ে নানান অপকর্ম করেও প্রতিবারই পাড় পেয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক ম্যানেজিং কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান নুর-উর রহমানের সাথে বিশেষ সখ্য থাকার কারণে সোসাইটিতে বিভিন্ন প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড করে অর্থ আত্মসাৎ এবং নিয়োগ-বাণিজ্যে করেছন ডা. শাহানা জাফর। ডা. শাহানা জাফরের সহযোগিতা নিয়ে বিগত কমিটির ট্রেজারার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী এম. এ সালাম রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে অনৈতিকভাবে অনেক অপকর্ম করেছেন প্রকাশ্যেই। দুর্নীতিবাজ এই চক্রের অনিয়ম-দুর্নীতি ‘ওপেন সিক্রেট’ ছিল বলেই সোসাইটি পরিণত হয় দুর্নীতির আখড়ায়। তাদের অবাধ অনিয়মে অন্যরাও অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী ম্যানেজিং বোর্ড ভেঙ্গে দেয়া হলেও বিএনপি’র কর্মী পরিচয়ে আওয়ামীপ্রেমী ডা. শাহানা জাফর পূর্বের মতোই ক্ষমতাসীন বিভিন্ন জনের সাথে সখ্য গড়ে তুলছেন এবং তাদের নাম ব্যবহার করে সোসাইটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। সাম্প্রতি সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে এই কর্মকর্তাকে বদলি করা হলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অলৌকিকভাবে হাত করে পূর্বের স্থানে এখনো বহাল রাখেন। এছাড়াও ডাঃ শাহানা জাফরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে ১২ টি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দুর্নীতির সত্যতা প্রমাণিত হওয়া স্বত্বেও তার বিরুদ্ধে সোসাইটি এখনো নিরবতা পালন করছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে এই দুর্নীতির অন্যায় অপকর্মের পিছনে বিশেষ সহযোগী হিসেবে আছেন সোসাইটির বর্তমান ২ ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য- ডা: শেখ আবু জাফর ও অধ্যাপক ডাঃ ইমরান বিন ইউনূস মদদ রয়েছে বলে জানা গেয়ে। সোসাইটির উক্ত বোর্ড সদস্যগণের ছত্রছায়ায় দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সুযোগ সৃষ্টি করছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে।
আর এক দুর্নীতিবাজ সুলতান আহমেদ নিজে: এই পুরো নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রক, যিনি সংস্থার আর্থিক ও প্রশাসনিক প্রতিটি সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণ করে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত কাঠামো গড়ে তুলেছেন। তার মাধ্যমে প্রতিটি নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির পেছনে নির্দিষ্ট হারে ঘুষ নেওয়া ও ত্রাণ, স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন প্রকল্পের বিপুল তহবিল সিন্ডিকেটের সদস্যদের পকেটে চলে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিআরসিএস) প্রশাসনিক কাঠামো গঠনতন্ত্র অনুসারে মহাসচিব ও মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগের অধীনে থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে একটি অঘোষিত অদৃশ্য জোট কর্তৃক এই কাঠামো সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস-১) মো. সোহাগ মিয়া এবং উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ মিলে সংস্থার প্রশাসনিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন। এতে গঠনতন্ত্রের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে এবং সোসাইটির মৌলিক শাসন কাঠামো চরমভাবে ভঙ্গ
উপরোক্ত জুটি মহাসচিব এবং এইচআর বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে একের পর এক বেআইনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে, যেগুলোর অধিকাংশই ব্যক্তিস্বার্থে রাজনৈতিক পুনর্বাসন ও আর্থিক সুবিধা আদায়ের কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রশাসনিক ক্ষমতার এই বিকৃতি সোসাইটির নিরপেক্ষতা ও মানবিক দায়িত্ব পালনের ধারাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
মহাসচিব ড. কবির মো. আশরাফ আলমের পারিবারিক সম্পর্কের কারণে (বোনের সঙ্গে উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদের আত্মীয়তা), তিনি কার্যত প্রশাসনিকভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এর ফলে পুরো সংস্থার শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ পিএস-১ এবং উপ-মহাসচিবের ইচ্ছাধীন হয়ে পড়েছে, যা একটি মানবিক সংস্থার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী নিয়োগপত্রে জালিয়াতি ও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের অপব্যবহার ও বিধি লঙ্ঘন
২০১৫ সালের মানবসম্পদ নীতিমালা এবং স্ট্যান্ডিং অর্ডার সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান ও উপ-মহাসচিব সরাসরি নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এতে স্বজনপ্রীতি ও ঘনিষ্ঠদের আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি প্রদানের অভিযোগ স্পষ্ট হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে এইচআর বিভাগ ও গভর্নিং বোর্ডকে সম্পূর্ণ বাইপাস করা হয়েছে।
চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী সোহাগ মিয়া আগে বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকরির তথ্য গোপন রেখে রেড ক্রিসেন্টে উচ্চ বেতনের পিএস-১ পদে যোগদানের অভিযোগ উঠেছে। একই সময়ে তিনি দুটি প্রতিষ্ঠানে বেতন গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যা চরম আর্থিক অনিয়মের দৃষ্টান্ত।
প্রাথমিকভাবে মহাসচিব কর্তৃক পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, পরে উপ-মহাসচিবের হস্তক্ষেপে চেয়ারম্যানের হস্তলিখিত একটি নোট ব্যবহার করে পিএস-১ পদে নিয়োগপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যা পুরো প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে কলুষিত করেছে।
চেয়ারম্যানের নাম ব্যবহার করে পিএস-১ মো. সোহাগ মিয়া একাধিকবার নিজের বেতন ও ভাতা বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজের নিয়োগপত্র নিজেই নিজেই মন্তব্য লিখে তা উপ-মহাসচিবের সহায়তায় চেয়ারম্যানের অনুমোদন করিয়েছেন, যা গভর্নিং বোর্ড এবং অর্গানোগ্রাম অনুসারে সম্পূর্ণ বেআইনি।
এছাড়াও চেয়ারম্যানের পারিবারিক গাড়িচালক খান এনামুলকে কোনো বিধি বা প্রটোকল অনুসরণ না করে রেড ক্রিসেন্টে গাড়িচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোষাধ্যক্ষ ও গভর্নিং বোর্ডকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা আরেকটি নীতিবহির্ভূত ও বেআইনি পদক্ষেপ।
গোপনীয়তার আড়ালে 'ঢাকার বাইরে থাকার অজুহাত দেখিয়ে নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করানো হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রাম, স্ট্যান্ডিং অর্ডার, এবং গৃহীত প্রশাসনিক কাঠামো।
হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের কোটার বিপরীতে। । টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করার অভিযোগও পিএস-১ এর বিরুদ্ধে উঠেছে। এই ঘটনা শুধু নৈতিক লঙ্ঘনই নয়, বরং মানবিক ম্যান্ডেটের বিপরীতমুখী পদক্ষেপ।
আওয়ামী পুনর্বাসনের শুরু এবং বাতিল সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব ডাঃ আজিজুল ইসলাম দায়িত্ব। গ্রহণের পরপরই সোসাইটিতে রাজনৈতিক পুনর্বাসনের সূচনা করেন। এই প্রক্রিয়ায় পূর্ববর্তী গভর্নিং বোর্ড সভায় বাতিলকৃত একটি বিতর্কিত পদোন্নতির সিদ্ধান্ত পুনরায় কার্যকর করা হয়। এই। পদোন্নতির প্রাপক ছিলেন মোঃ রেজাউল করিম, যিনি অতীতে 'বঙ্গবন্ধু পরিষদ নামক একটি রাজনৈতিক সংগঠনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। যদিও তিনি পূর্বের ম্যানেজিং বোর্ড সভায় পরিচালকের জন্য ফিটনেস না থাকায় বাদ পড়েছিলেন, কিন্তু ১০ এপ্রিলের সভায় পরীক্ষায় প্রথম স্থানপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদোন্নতি বাতিল করে তাঁকেই পুনরায় পদোন্নতি প্রদান করা হয়। এই সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যানের একক নির্দেশে নেওয়া হয়, যার পেছনে উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ এবং ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস)-এর মাধ্যমে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
আওয়ামী পুনর্বাসনের ধারাবাহিকতায় চুক্তিভিত্তিক পুনঃনিয়োগ
ও আর্থিক দুর্নীতি
চেয়ারম্যান ও উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদের যৌথ তৎপরতায় আর্থিক স্বার্থের বিনিময়ে অবসরে যাওয়া পরিচালক মিজানুর রহমানকে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন সাবেক বোর্ড সদস্য ও আওয়ামীপন্থী রাজিয়া সুলতানা লুনার স্বামী। প্রথম মেয়াদ শেষে দ্বিতীয়বারও তাকে একইভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের পেছনে রাজনৈতিক যোগসাজশ ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ স্পষ্ট, যেখানে উপ-মহাসচিব এবং পিএসের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াও গভর্নিং বোর্ড বা মানবসম্পদ নীতিমালার যথাযথ সম্মতি ছাড়াই সম্পন্ন হয়।
বদলি বাণিজ্য ও বিতর্কিত পুনর্বাসন
আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ও দুর্নীতির অভিযোগে বিতর্কিত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ডা. এস. এম. হুমায়ুন কবিরকে রক্তদান কর্মসূচির পরিচালক হিসেবে পুনর্বহাল করা হয় একক চেয়ারম্যানের। আদেশে। একই আদেশে সাবেক চেয়ারম্যানের বোন নাজমা পারভীনকেও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায়। বদলি করে আনা হয়। এই পরিবর্তনগুলোতে বোর্ড সদস্যদের মতামত উপেক্ষিত হয় এবং বদলির পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক লেনদেন হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। চেয়ারম্যানের পিএস ও উপ-মহাসচির সুলতানের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকায় এই বদলিগুলো বদলি বাণিজ্যের পরিষ্কার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত। আওয়ামী দোসর ও পরিচালক ডা. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে যত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
ডা. এস. এম. হুমায়ুন কবিরের নিয়োগ ও পরবর্তী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটি তদন্তে গুরুতর। অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। নির্ধারিত বয়সসীমা অতিক্রম করা সত্ত্বেও অবসরোত্তর ছুটিতে থাকাকালে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে এই নিয়োগ হয় একটি পক্ষপাতমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এর পাশাপাশি, তিনি পূর্ববর্তী চাকরি থেকে আনুষ্ঠানিক অব্যাহতি না নিয়েই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নতুন পদে যোগ দেন। তদন্তে দেখা গেছে তিনি আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে এবং প্যাথলজিক্যাল উপকরণের টেন্ডারবিহীন ক্রয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন।
আওয়ামী বিতর্কিত কর্মকর্তা পুনর্বাসন ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা।
সোসাইটিতে আওয়ামী ঘনিষ্ঠ বিতর্কিত কর্মকর্তা কাজী আসাদুজ্জামানকে পাবনা থেকে ঢাকায় পুনর্বহাল করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়। বদলির পেছনে কয়েক লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন ও অনুমোদনে চেয়ারম্যানের পিএস হিসাবে খ্যাত সোহাগ মিয়া সরাসরি জড়িত এবং উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কাজী আসাদুজ্জামানের রাজনৈতিক সংযোগও স্পষ্ট তার শ্বশুর আওয়ামী লীগের পৌর সভাপতি, চাচাতো ভাইরা যুবলীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে। তার স্ত্রী মনিরা পারভিনকে অর্থের বিনিময়ে হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজে চাকরি পাইয়ে দেন। এবং জামালপুর রেড ক্রিসেন্টে রূজনৈতিক ব্যক্তি খায়রুল ইসলাম লিয়নকে সেক্রেটারি পদে বসান। এই পদে নিয়োগের পেছনেও পিএস ও সুলতান আহমেদের মাধ্যমে বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছে, যা জেলা প্রশাসকের পাঠানো কমিটিকে উপেক্ষা করে করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জামালপুর জেলা প্রশাসনে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
রেড ক্রিসেন্ট সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তারমতে, এই দুর্নীতির সিন্ডিকেটের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য এবং হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. শেখ আবু জাফর। তার নির্দেশনায় উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ ও পি.এস সোহাগ মিয়া যোগসাজসে নিয়োগ বাণিজ্য, পদোন্নতি এবং বদলির নামে কোটি কোটি টাকার লেনদেন পরিচালনা করেছেন। প্রতিটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের পেছনে থাকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার পরিকল্পিত চক্রান্ত। ডা. আবু জাফরের প্রশাসনিক দখলদারিত্ব রেড ক্রিসেন্টের একটি মানবিক সংগঠন হিসেবে পরিচয়কে ম্লান করে দিয়েছে। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে যে তিনি ব্যক্তিস্বার্থে ও আর্থিক উৎকোচের বিনিময়ে একটি পদোন্নতির প্রক্রিয়া অনুমোদনে প্রভাব বিস্তার করেছেন, যেখানে সোসাইটির চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বাধীন তদন্ত ও শাস্তির দাবি
বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে দুর্নীতি অনেকক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, সেখানে রেড ক্রিসেন্টের মতো একটি জাতীয় মানবিক সংগঠনের ভিতরে সিন্ডিকেটভিত্তিক দুর্নীতির এই বিস্তার অত্যন্ত দুঃখজনক। দুর্নীতির অভিযোগের এই পাহাড়ের প্রেক্ষাপটে অবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তদন্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রেড ক্রিসেন্টের নৈতিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের চরম প্রয়োজন।
এই অবৈধ উপায়ে বিত্ত-বৈভব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চাকরি জীবনে এমন কোন হীনও কাজ নেই যা ডা. শাহানা জাফর করেননি। টাকার জন্য তিনি হাসপাতাল প্রাঙ্গনকে ‘গরুর হাটে’ পরিণতও করেছেন। গরুপ্রতি টাকা নিয়ে ভাড়া দিয়েছেন শহীদ ময়েজ উদ্দীন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল প্রাঙ্গণকেও। ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের অবসান হলেও প্রশাসনের সকল স্তরে ঘাপটি মেরে আছে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর। ডা. শাহানা জাফর একনিষ্ঠ আওয়ামীপ্রেমী ফ্যাসিস্টদের দোসর হলেও এখন তিনি আওয়ামী পরিচয় লুকিয়ে বৈষম্য বিরোধী ‘আলখেল্লা’র আড়ালে আওয়ামী আদর্শেই হাঁটছেন। ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর এক সম্মেলনে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ও আইএফআরসি’র গভর্নিং বোর্ডের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রেড ক্রিসেন্টের অনেকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যহার ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ডা: শাহানা জাফর এদের অন্যতম।
এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ড সদস্যরা অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন,অথচ এখনও আওয়ামী দোসর ডা. শাহানা জাফর বহাল তবিয়তে টিকে আছেন। তিনি গোপনে তাদের ও দলের মিশন পরিচালনা করছেন। এ বিষয়ে তার ভূমিকা বিতর্কিত প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। ডা. শাহানা জাফর অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে এখনও সকল ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন- এমন অভিযোগ করেন নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সোসাইটির প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন ইউনিটের একাধিক কর্মকর্তারা। তারা বলেন, ডা. শাহানার মতো কর্মকর্তার অপকর্মের ফলে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মতো বৃহৎ এই মানবিক প্রতিষ্ঠানের সুনাম আগেও ক্ষুন্ন হয়েছে, এখনও হচ্ছে। ডা. শাহানা জাফরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম, অনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ থাকার অভিযোগ উঠলেও তিনি বিশেষ কৌশলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে সবসময় রেহাই পেয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থাকার পরও কেন শাস্তি মুলক কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না- এমন প্রশ্ন করে বিস্ময় প্রকাশ করেন তারা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডা. শাহানা জাফর সোসাইটির সাবেক উপ-মহাসচিব জাকারিয়া খালেদের সাথে বিশেষ সম্পর্কে থাকার কারণেই বিগত সময়ে নানান অপকর্ম করেও প্রতিবারই পাড় পেয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক ম্যানেজিং কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান নুর-উর রহমানের সাথে বিশেষ সখ্য থাকার কারণে সোসাইটিতে বিভিন্ন প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড করে অর্থ আত্মসাৎ এবং নিয়োগ-বাণিজ্যে করেছন ডা. শাহানা জাফর। ডা. শাহানা জাফরের সহযোগিতা নিয়ে বিগত কমিটির ট্রেজারার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী এম. এ সালাম রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে অনৈতিকভাবে অনেক অপকর্ম করেছেন প্রকাশ্যেই। দুর্নীতিবাজ এই চক্রের অনিয়ম-দুর্নীতি ‘ওপেন সিক্রেট’ ছিল বলেই সোসাইটি পরিণত হয় দুর্নীতির আখড়ায়। তাদের অবাধ অনিয়মে অন্যরাও অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী ম্যানেজিং বোর্ড ভেঙ্গে দেয়া হলেও বিএনপি’র কর্মী পরিচয়ে আওয়ামীপ্রেমী ডা. শাহানা জাফর পূর্বের মতোই ক্ষমতাসীন বিভিন্ন জনের সাথে সখ্য গড়ে তুলছেন এবং তাদের নাম ব্যবহার করে সোসাইটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। সাম্প্রতি সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে এই কর্মকর্তাকে বদলি করা হলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অলৌকিকভাবে হাত করে পূর্বের স্থানে এখনো বহাল রাখেন। এছাড়াও ডাঃ শাহানা জাফরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে ১২ টি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দুর্নীতির সত্যতা প্রমাণিত হওয়া স্বত্বেও তার বিরুদ্ধে সোসাইটি এখনো নিরবতা পালন করছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে এই দুর্নীতির অন্যায় অপকর্মের পিছনে বিশেষ সহযোগী হিসেবে আছেন সোসাইটির বর্তমান ২ ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য- ডা: শেখ আবু জাফর ও অধ্যাপক ডাঃ ইমরান বিন ইউনূস মদদ রয়েছে বলে জানা গেয়ে। সোসাইটির উক্ত বোর্ড সদস্যগণের ছত্রছায়ায় দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সুযোগ সৃষ্টি করছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে।
আর এক দুর্নীতিবাজ সুলতান আহমেদ নিজে: এই পুরো নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রক, যিনি সংস্থার আর্থিক ও প্রশাসনিক প্রতিটি সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণ করে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত কাঠামো গড়ে তুলেছেন। তার মাধ্যমে প্রতিটি নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির পেছনে নির্দিষ্ট হারে ঘুষ নেওয়া ও ত্রাণ, স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন প্রকল্পের বিপুল তহবিল সিন্ডিকেটের সদস্যদের পকেটে চলে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিআরসিএস) প্রশাসনিক কাঠামো গঠনতন্ত্র অনুসারে মহাসচিব ও মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগের অধীনে থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে একটি অঘোষিত অদৃশ্য জোট কর্তৃক এই কাঠামো সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস-১) মো. সোহাগ মিয়া এবং উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ মিলে সংস্থার প্রশাসনিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন। এতে গঠনতন্ত্রের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে এবং সোসাইটির মৌলিক শাসন কাঠামো চরমভাবে ভঙ্গ
উপরোক্ত জুটি মহাসচিব এবং এইচআর বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে একের পর এক বেআইনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে, যেগুলোর অধিকাংশই ব্যক্তিস্বার্থে রাজনৈতিক পুনর্বাসন ও আর্থিক সুবিধা আদায়ের কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রশাসনিক ক্ষমতার এই বিকৃতি সোসাইটির নিরপেক্ষতা ও মানবিক দায়িত্ব পালনের ধারাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
মহাসচিব ড. কবির মো. আশরাফ আলমের পারিবারিক সম্পর্কের কারণে (বোনের সঙ্গে উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদের আত্মীয়তা), তিনি কার্যত প্রশাসনিকভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এর ফলে পুরো সংস্থার শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ পিএস-১ এবং উপ-মহাসচিবের ইচ্ছাধীন হয়ে পড়েছে, যা একটি মানবিক সংস্থার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী নিয়োগপত্রে জালিয়াতি ও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের অপব্যবহার ও বিধি লঙ্ঘন
২০১৫ সালের মানবসম্পদ নীতিমালা এবং স্ট্যান্ডিং অর্ডার সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান ও উপ-মহাসচিব সরাসরি নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এতে স্বজনপ্রীতি ও ঘনিষ্ঠদের আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি প্রদানের অভিযোগ স্পষ্ট হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে এইচআর বিভাগ ও গভর্নিং বোর্ডকে সম্পূর্ণ বাইপাস করা হয়েছে।
চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী সোহাগ মিয়া আগে বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকরির তথ্য গোপন রেখে রেড ক্রিসেন্টে উচ্চ বেতনের পিএস-১ পদে যোগদানের অভিযোগ উঠেছে। একই সময়ে তিনি দুটি প্রতিষ্ঠানে বেতন গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যা চরম আর্থিক অনিয়মের দৃষ্টান্ত।
প্রাথমিকভাবে মহাসচিব কর্তৃক পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, পরে উপ-মহাসচিবের হস্তক্ষেপে চেয়ারম্যানের হস্তলিখিত একটি নোট ব্যবহার করে পিএস-১ পদে নিয়োগপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যা পুরো প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে কলুষিত করেছে।
চেয়ারম্যানের নাম ব্যবহার করে পিএস-১ মো. সোহাগ মিয়া একাধিকবার নিজের বেতন ও ভাতা বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজের নিয়োগপত্র নিজেই নিজেই মন্তব্য লিখে তা উপ-মহাসচিবের সহায়তায় চেয়ারম্যানের অনুমোদন করিয়েছেন, যা গভর্নিং বোর্ড এবং অর্গানোগ্রাম অনুসারে সম্পূর্ণ বেআইনি।
এছাড়াও চেয়ারম্যানের পারিবারিক গাড়িচালক খান এনামুলকে কোনো বিধি বা প্রটোকল অনুসরণ না করে রেড ক্রিসেন্টে গাড়িচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোষাধ্যক্ষ ও গভর্নিং বোর্ডকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা আরেকটি নীতিবহির্ভূত ও বেআইনি পদক্ষেপ।
গোপনীয়তার আড়ালে 'ঢাকার বাইরে থাকার অজুহাত দেখিয়ে নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করানো হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রাম, স্ট্যান্ডিং অর্ডার, এবং গৃহীত প্রশাসনিক কাঠামো।
হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের কোটার বিপরীতে। । টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করার অভিযোগও পিএস-১ এর বিরুদ্ধে উঠেছে। এই ঘটনা শুধু নৈতিক লঙ্ঘনই নয়, বরং মানবিক ম্যান্ডেটের বিপরীতমুখী পদক্ষেপ।
আওয়ামী পুনর্বাসনের শুরু এবং বাতিল সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব ডাঃ আজিজুল ইসলাম দায়িত্ব। গ্রহণের পরপরই সোসাইটিতে রাজনৈতিক পুনর্বাসনের সূচনা করেন। এই প্রক্রিয়ায় পূর্ববর্তী গভর্নিং বোর্ড সভায় বাতিলকৃত একটি বিতর্কিত পদোন্নতির সিদ্ধান্ত পুনরায় কার্যকর করা হয়। এই। পদোন্নতির প্রাপক ছিলেন মোঃ রেজাউল করিম, যিনি অতীতে 'বঙ্গবন্ধু পরিষদ নামক একটি রাজনৈতিক সংগঠনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। যদিও তিনি পূর্বের ম্যানেজিং বোর্ড সভায় পরিচালকের জন্য ফিটনেস না থাকায় বাদ পড়েছিলেন, কিন্তু ১০ এপ্রিলের সভায় পরীক্ষায় প্রথম স্থানপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদোন্নতি বাতিল করে তাঁকেই পুনরায় পদোন্নতি প্রদান করা হয়। এই সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যানের একক নির্দেশে নেওয়া হয়, যার পেছনে উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ এবং ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস)-এর মাধ্যমে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
আওয়ামী পুনর্বাসনের ধারাবাহিকতায় চুক্তিভিত্তিক পুনঃনিয়োগ
ও আর্থিক দুর্নীতি
চেয়ারম্যান ও উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদের যৌথ তৎপরতায় আর্থিক স্বার্থের বিনিময়ে অবসরে যাওয়া পরিচালক মিজানুর রহমানকে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন সাবেক বোর্ড সদস্য ও আওয়ামীপন্থী রাজিয়া সুলতানা লুনার স্বামী। প্রথম মেয়াদ শেষে দ্বিতীয়বারও তাকে একইভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের পেছনে রাজনৈতিক যোগসাজশ ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ স্পষ্ট, যেখানে উপ-মহাসচিব এবং পিএসের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াও গভর্নিং বোর্ড বা মানবসম্পদ নীতিমালার যথাযথ সম্মতি ছাড়াই সম্পন্ন হয়।
বদলি বাণিজ্য ও বিতর্কিত পুনর্বাসন
আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ও দুর্নীতির অভিযোগে বিতর্কিত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ডা. এস. এম. হুমায়ুন কবিরকে রক্তদান কর্মসূচির পরিচালক হিসেবে পুনর্বহাল করা হয় একক চেয়ারম্যানের। আদেশে। একই আদেশে সাবেক চেয়ারম্যানের বোন নাজমা পারভীনকেও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায়। বদলি করে আনা হয়। এই পরিবর্তনগুলোতে বোর্ড সদস্যদের মতামত উপেক্ষিত হয় এবং বদলির পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক লেনদেন হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। চেয়ারম্যানের পিএস ও উপ-মহাসচির সুলতানের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকায় এই বদলিগুলো বদলি বাণিজ্যের পরিষ্কার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত। আওয়ামী দোসর ও পরিচালক ডা. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে যত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
ডা. এস. এম. হুমায়ুন কবিরের নিয়োগ ও পরবর্তী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটি তদন্তে গুরুতর। অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। নির্ধারিত বয়সসীমা অতিক্রম করা সত্ত্বেও অবসরোত্তর ছুটিতে থাকাকালে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে এই নিয়োগ হয় একটি পক্ষপাতমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এর পাশাপাশি, তিনি পূর্ববর্তী চাকরি থেকে আনুষ্ঠানিক অব্যাহতি না নিয়েই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নতুন পদে যোগ দেন। তদন্তে দেখা গেছে তিনি আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে এবং প্যাথলজিক্যাল উপকরণের টেন্ডারবিহীন ক্রয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন।
আওয়ামী বিতর্কিত কর্মকর্তা পুনর্বাসন ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা।
সোসাইটিতে আওয়ামী ঘনিষ্ঠ বিতর্কিত কর্মকর্তা কাজী আসাদুজ্জামানকে পাবনা থেকে ঢাকায় পুনর্বহাল করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়। বদলির পেছনে কয়েক লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন ও অনুমোদনে চেয়ারম্যানের পিএস হিসাবে খ্যাত সোহাগ মিয়া সরাসরি জড়িত এবং উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কাজী আসাদুজ্জামানের রাজনৈতিক সংযোগও স্পষ্ট তার শ্বশুর আওয়ামী লীগের পৌর সভাপতি, চাচাতো ভাইরা যুবলীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে। তার স্ত্রী মনিরা পারভিনকে অর্থের বিনিময়ে হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজে চাকরি পাইয়ে দেন। এবং জামালপুর রেড ক্রিসেন্টে রূজনৈতিক ব্যক্তি খায়রুল ইসলাম লিয়নকে সেক্রেটারি পদে বসান। এই পদে নিয়োগের পেছনেও পিএস ও সুলতান আহমেদের মাধ্যমে বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছে, যা জেলা প্রশাসকের পাঠানো কমিটিকে উপেক্ষা করে করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জামালপুর জেলা প্রশাসনে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
রেড ক্রিসেন্ট সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তারমতে, এই দুর্নীতির সিন্ডিকেটের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য এবং হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. শেখ আবু জাফর। তার নির্দেশনায় উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ ও পি.এস সোহাগ মিয়া যোগসাজসে নিয়োগ বাণিজ্য, পদোন্নতি এবং বদলির নামে কোটি কোটি টাকার লেনদেন পরিচালনা করেছেন। প্রতিটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের পেছনে থাকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার পরিকল্পিত চক্রান্ত। ডা. আবু জাফরের প্রশাসনিক দখলদারিত্ব রেড ক্রিসেন্টের একটি মানবিক সংগঠন হিসেবে পরিচয়কে ম্লান করে দিয়েছে। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে যে তিনি ব্যক্তিস্বার্থে ও আর্থিক উৎকোচের বিনিময়ে একটি পদোন্নতির প্রক্রিয়া অনুমোদনে প্রভাব বিস্তার করেছেন, যেখানে সোসাইটির চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বাধীন তদন্ত ও শাস্তির দাবি
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক কর্ম কতা বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে দুর্নীতি অনেকক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, সেখানে রেড ক্রিসেন্টের মতো একটি জাতীয় মানবিক সংগঠনের ভিতরে সিন্ডিকেটভিত্তিক দুর্নীতির এই বিস্তার অত্যন্ত দুঃখজনক। দুর্নীতির অভিযোগের এই পাহাড়ের প্রেক্ষাপটে অবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রেড ক্রিসেন্টের নৈতিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে ঐ কর্ম।কর্তা। এ ব্যাপারে জানতে রেডক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে আজ সোমবার (০৯-০৬-২৫) বিকেল চারটা পচিশ মিনিটে ফোন নাম্বারে (০১৮৮৬৭৭১১০০)কলা হয়। অনেকক্ষন রিং বাজলেও উনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার মতামত পেতে ব্যার্থ হই।